কম্পিউটার ইতিহাস
-কম্পিউটার হলো গণনাকারী যন্ত্র বা হিসাব যন্ত্র।
- কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র যা মানুষের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে পারে। এর কোনো বুদ্ধি বিবেচনা নেই। এতে পুনরাবৃত্তি কাজ অধিক সুবিধাজনক।
- কম্পিউটার যা কিছু করে তার পুরোটাই একটা সিস্টেমের (সফটওয়্যারের) মধ্যে দিয়ে চলে।
- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ। তিনি যুক্তরাজ্যের অধিবাসী।
- পরবর্তীতে ব্যাবেজের চিন্তাভাবনার বাস্তবায়ন ঘটান হাওয়ার্ড আইকেন। তিনি প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটারের আবিষ্কারক।
- প্রথম কম্পিউটার হলো ABC (Atansoff Berry Computer), এটি সাধারণত নন-পারপাস কম্পিউটার।
-প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার হলো ENIAC (Electronic Numerical Integrator and Computer)। ১৯৪৫ সালে ভন নিউম্যান তৈরি করেন EDVAC কম্পিউটার। তিনি আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসেবে খ্যাত।
- বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহারের প্রথম বাজারে ছাড়া হয় ১৯৫১ সালে তৈরি UNIVAC কম্পিউটার। বাংলাদেশে প্রচলিত প্রথম কম্পিউটার IBM-1620.
- বর্তমানে কম্পিউটার জগতের কিংবদন্তী হলেন বিল গেটস। তার তৈরি মাইক্রোসফট হলো সফটওয়্যার জগতে নামকরা প্রতিষ্ঠান। স্টিভ জবস হলো বিখ্যাত কম্পিউটার ব্যক্তিত্ব।
- পৃথিবীর প্রথম গণনাযন্ত্রের নাম হলো অ্যাবাকাস।
- সর্বপ্রথম বিক্রয়ের জন্য কম্পিউটার তৈরি করে রেমিংটন র্যান্ড কর্পোরেশন।
- IC চিপ দিয়ে তৈরি প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটারের নাম- IBM System 360, পিসি (পার্সোনাল কম্পিউটার) বলা হয় মাইক্রো কম্পিউটারকে।
- প্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার তৈরি করে- মাইক্রো ইন্সট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড টেলিমেট্রি সিস্টেমস। প্রথম মিনি কম্পিউটারের নাম পিডিপ-১।
- বাংলাদেশে কম্পিউটার স্থাপিত হয়- বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে, ১৯৬৪ সালে। প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটারের নাম Mark-1.
- Mini Computer এর জনক কেনেথ এইচ ওলসেন।
- পামটপ এক ধরনের ছোট কম্পিউটার যা হাতের তালুতে নিয়ে কাজ করা যায়। বাংলাদেশে প্রথম মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করা হয়- বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে।
- কম্পিউটারের IBM কোম্পানিকে বলা হয়- বিগ ব্লু (Big Blue)।
- বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র কম্পিউটার জাদুঘরটি অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়। চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার হিসেবে চিহ্নিত করা হয় - PC বা Personal Computer কো।
-পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের প্রকৃত পরিবেশ সমতাকরণ করা হয়- সুপার কম্পিউটার দিয়ে। এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত হাইব্রিড কম্পিউটারের প্রজন্ম ৫টি।
- চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হলো- মাইক্রো প্রসেসরের ব্যবহার (ফলে কম্পিউটারের আকার ছোট ও বহনযোগ্য)।
-কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা প্রয়োগ করবে এবং মানুষের কন্ঠস্বরের নির্দেশ পালন করতে পারবে- পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার।
- ব্যাংক, বীমা, অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকতৎপরতা পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়- সুপার কম্পিউটার।
- অ্যাপেল কোম্পানী প্রথম কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে - ১৯৭৬ সালে।
-আইবিএম মাইক্রোকম্পিউটার বাজারে ছাড়ে ১৯৮১ সালে।
- গাড়িরর ব্যাটারিতেও চলে এমন কম্পিউটার হলো- নোটবুক / পাওয়ারবুক।
- বিশ্বের প্রথম ল্যাটপের নকশা করেন- বিল মোগরিজ।
- বিশ্বের প্রথম অ্যাপল কম্পিউটারের অ্যাপেল-১ এর নকশাকার হলেন স্টিভ ওজনিয়াক।
- বিশ্বের উল্লেখযোগ্য ট্যাবলেট কম্পিউটার হলো- ব্ল্যাকপ্যাড, আইপ্যাড, স্ট্রিক, গ্যালাক্সি, ইপ্যাড, লেপ্যাড, সিয়াস ইত্যাদি।
- প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়- প্যারালাল প্রসেসিং।
- মাইক্রোসফট হলো কম্পিউটার সফটওয়্যার জগতে নামকরা প্রতিষ্ঠান।
- কম্পিউটার জেনারেশন বা প্রজন্ম বলতে বুঝায় প্রযুক্তিগত বিবর্তনকে।
- প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হলেন অগাস্টা এডা বায়রন।
- সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল কম্পিউটার হলো Mark-1.
- ট্রানজিস্টর আবিষ্কৃত হয় ১৯৪৮ সালে।
- ট্রানজিস্টর মূলত ব্যবহৃত হয়- অ্যামপ্লিফায়ার হিসেবে।
- ট্রানজিস্টরভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার হলো TX-O (Transistor Experimental Computer).
- ট্রানজিস্টরভিত্তিক প্রথম মিনি কম্পিউটার হলো PDP-8.
- আধুনিক কম্পিউটারের দ্রুতগতির মূলে রয়েছে ইনটিগ্রেটেড সার্কিট বা IC.
- ইনটিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি আবিষ্কার করেন জ্যাক কেলবি ও রবার্ট নয়েস ১৯৮৫ সালে। আর ১৯৬৮ সালে বারোস কোম্পানি ইনটিগ্রেটেড সার্কিটভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার উপস্থাপন করে 2500 ও B 3500 মডেলের।
-মাইক্রোপ্রসেসরের প্রথম আর্বিভাব ঘটে ১৯৭১ সালে।
- বাণিজ্যিকভাবে বিশ্বের প্রথম মাইক্রো প্রসেসর হলো ইনটেল ৮০০৮, মাইক্রো কম্পিউটারের জনক বলা হয় এইচ এডওয়ার্ড রবার্টকে।
-১৯৮১ সালের ১২ আগষ্ট আবিএম থেকে বের হয় পিসি বা পার্সোনাল কম্পিউটার নামক এক ধরনের কম্পিউটার, যা কম্পিউটার জগতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।
- কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য গুলো হলো: দ্রতগতি, বিশ্বাসযোগ্যতা, সূক্ষ্মতা, ক্লান্তিহীনতা। কম্পিউটার এমন একটি মেশিন, যা প্রদত্ত তথ্য বা উপাত্ত ঠিক থাকলে ১০০ ভাগ সঠিক ফলাফল দেয় ।
- কম্পিউটারের কাজের ভুল ফলাফল দেওয়াকে বলে: Garbage In Garbage Out বা সংক্ষেপে বলে GIGO.
- কম্পিউটার পারফরম্যান্স বলতে মূলত বোঝানো হয়: কম্পিউটারের দ্রুত গতিকে। কম্পিউটারের গতিকে তুলনা করা হয় বিদ্যুতের গতির সাথে।
- কম্পিউটার সেকেন্ডে যোগ করতে পারে : দুই কোটি পর্যন্ত।
- কম্পিউটার একটি কাজ বা নির্দেশ সম্পন্ন করতে সময় নেয়- ১ ন্যানো সেকেন্ড।
- ১ ন্যানো সেকেন্ডে হচ্ছে: ১ সেকেন্ডের ১শত কোটি ভাগের এক ভাগ।
- কম্পিউটা প্রোগ্রামে, একই নির্দেশনা বারবার সম্পন্ন করার প্রক্রিয়াকে বলে: লুপিং।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions