ব্যাংক ড্রাফট কি
নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য কোনো ব্যাংক কর্তৃক অন্য কোনো ব্যাংকের উপর লিখিত আদেশকে বলা হয় ব্যাংক ড্রাফট।বাণিজ্যিক ব্যাংক কোন বিহিত মুদ্রা ইস্যু করতে পারে না। তবে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন দু’টি দলিল যেমন ব্যাংক ড্রাফট ও পে-অর্ডার ইস্যু করতে পারে। তাহলে আসুন, এগুলো সম্পর্কে জেনে নিই। ব্যাংক ড্রাফট হচ্ছে একটি পেমেন্ট পদ্ধতি, যার মাধ্যমে প্রাপককে নগদ টাকার পরিবর্তে ব্যাংক কর্তৃক চেকের ন্যায় পেমেন্ট করা যায়। ব্যাংক ড্রাফট করা সহজ এবং অধিক নিরাপদ। সাধারণত আমাদের দেশে চাকুরী অথবা টেন্ডার প্রভৃতি কাজে ব্যাংক ড্রাফট করা হয়। এর জন্য ব্যাংককে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন এবং ভ্যাট দিতে হয়। ধরুন, আপনি ঢাকায় আছেন, আপনি জনাব আব্দুল আলীমকে নগদ টাকা না দিয়ে তার একাউন্টে নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখায় নগদ টাকার পরিবর্তে ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারেন। একে সংক্ষেপে ডিডি বা ডিমান্ড ড্রাফট (Demand Draft) বলা হয়। যদি পে-অর্ডার ইস্যুকারী ব্যাংক ও গ্রাহকের একাউন্ট একই ব্যাংকের ভিন্ন শাখায় হয়, তবে অনলাইন বাঙ্কগুলো গ্রাহক পে-অর্ডার জমা দেওয়ার সাথে সাথেই টাকা পরিশোধ করতে পারে। আর ব্যাংক যদি অনলাইন না হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাংক চাইলে ফোনের মাধ্যমে ইস্যুকারী ব্যাংক থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর পরিশোধ করতে পারেন। ফোন না করলে তারা পরিশোধকারী ব্যাংক থেকে ‘নির্দেশনা’ (এডভাইস) আসা পর্যমত্ম অপেক্ষা করবেন এবং এডভাইস পাওয়ার পর টাকা জমা করবেন। আর গ্রাহক যদি অন্য ব্যাংকে পে-অর্ডারটি জমা করেন, তবে এই ব্যাংকটি টাকা সংগ্রহের জন্য clearing house-এর মাধ্যমে সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন কার্যদিবস লাগবে। তবে এখন কিছু কিছু ব্যাংক এক দিনের মধ্যেও টাকা গ্রাহকের হিসাবে জমা করে। সেক্ষেত্রে প্রথম ক্লিয়ারিং হাউজ (দিনে দুবার ক্লিয়ারিং হাউজ বসে) বসার পূর্বেই গ্রাহককে তার হিসাবে পে-অর্ডারটি জমা করতে হবে। উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি বলা যায়, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ত্বরিৎ পদ্ধতি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions