এক কথায় প্রকাশ
একাধিক পদ একত্রে মিলিত হয়ে বক্তার মনের ভাব প্রকাশ করলে তাকে আমরা বাক্য বলি। আবার কখনো একটি শব্দেও প্রকাশ করা যায়। তাহলে পুরো একটি বাক্য না বলে তার বিকল্প ঐ শব্দটি বলাই ভালো। এতে সময়ও কম লাগে, আর বাক্যটিও শ্রুতিমধুর হয়। এভাবে পুরো একটি বাক্যের বা উপবাক্যের অর্থকে সংকোচন করে বা সংক্ষিপ্ত করে একটি শব্দে প্রকাশ করাই হলো এক কথায় প্রকাশ। যেহেতু এতে বাক্যের অর্থ সংকুচিত বা সংক্ষিপ্ত হয় সেজন্য এতে আমরা বাক্য-সংকোচন বা সংক্ষেপণও বলতে পারি।
একাধিদ পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশের নামই হলো এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংক্ষেপণ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভাষার ব্যবহারে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। দক্ষতার সঙ্গে ভাষার ব্যবহার ও শিক্ষার্থীর শব্দসম্ভার বৃদ্ধির জন্যও এক কথায় প্রকাশ জানা দরকার। বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে প্রকাশের নামই বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশ। ভাষাকে সহজ, সুন্দর ও সাবলীলভাবে প্রকাশ করার জন্য বাংলা ভাষায় বাক্য সংক্ষেপণ অত্যন্ত প্রচলিত একটি নিয়ম। সাধারণভাবে বাক্য সংক্ষেপন সমাস, উপসর্গ ও প্রত্যয়ের সাহায্যে হয়ে থাকে। আবার এগুলো ব্যতীত সম্পূর্ণ ভিন্ন শব্দ দিয়েও এক কথায় প্রকাশ করা যেতে পারে।
নিম্নে এক কথায় প্রকাশ এর প্রয়োজনীয় একটি তালিকা দেয়া হলো:
১। অনেক দেখেছে যে - ভূয়োদর্শী।
২। অগ্রে বর্তমান থাকে যে - অগ্রবর্তী
৩। অহংকার করে যে - অহংকারী
৪। অভিজ্ঞতার অভাব - অনভিজ্ঞ
৫। অনেকের মধ্যে একজন - অন্যতম
৬। অগ্রে জন্মিয়াছে যে - অগ্রজ
৭। অনুতে (পশ্চাতে) জন্মেছে যে - অনুজ
৮। অতি দীর্ঘ নয় যা - নাতিদীর্ঘ
৯। অক্ষির অগোচর - পরোক্ষ
১০। অনুসন্ধান করার ইচ্ছা - অনুসন্ধিৎসা
১১। অন্যদিকে মন যার - অন্যমনস্ক / অন্যমনা
১২। অপকার করা ইচ্ছা - অপচিকীর্ষা
১৩। অন্য দেশ - দেশান্তর
১৪। অন্য বার - বারান্তর
১৫। অগ্র পশ্চাৎ বিবেচনা না করে যে কাজ করে - অবিমৃষ্যাকারী
১৬। অতি শীতও নয় অতি উষ্ণও নয় - নাতিশীতোষ্ণ
১৭। অবশ্যই যা হবে - অবশ্যম্ভাবী
১৮। অশ্বের ডাক - হ্রেষা
১৯। অল্প কথা বলে যে - অল্পভাষী
২০। অধ্যাপনা করেন যিনি - অধ্যাপক
২১। অন্য উপায় নেই - অগত্যা
২২। অন্তর্গত অপ যার - অন্তরীপ
২৩। অরিকে দমন করেন যিনি - অরিন্দম
২৪। অণুকে দেখা যায় যা দ্বারা - অণুবীক্ষণ
২৫। অগ্র-পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী - আনুপূর্বিক
২৬। অবজ্ঞায় নাক উঁচু করে যে - উন্নসিক
২৭। অতিকষ্টে যা নিবারণ করা যায় - দুর্নিবার
২৮। অর্থহীন উক্তি - প্রলাপ
২৯। অপূর্ব সৃষ্টিশীল ক্ষমতা - প্রতিভা
৩০। অল্প পরিশ্রমে শ্রান্ত নারী - ফুলটুসি
৩১। অলংকারের ধ্বনি - শিঞ্জন
৩২। অবলীলার সঙ্গে - সাবলীল
৩৩। অসূয়া নেই যার (স্ত্রী) - অনসূয়া
৩৪। অন্তরকে নিয়ন্ত্রণ করেন যিনি - অন্তর্যামী
৩৫। অন্ধকার রাত্রি - তামসী
৩৬। অতি উচ্চ ধ্বনি - মহানাদ
৩৭। অতি উচ্চ রোল - উতরোল
৩৮। অনুচিত বল প্রয়োগকারী - হঠকারী
৩৯। অহনের পূর্বাংশ - পূর্বাহ্ন
৪০। অহনের অপর অংশ - অপরাহ্ন
৪১। অহনের মধ্য অংশ - মধ্যাহ্ন
৪২। অন্য গতি - গত্যন্তর
৪৩। অশ্ব রাখার স্থান - আস্তাবল
৪৪। আকাশে চরে যে - খেচর
৪৫। আচরণের যোগ্য - আচরনীয়
৪৬। আপনাকে কেন্দ্র করেই যার চিন্তা - আত্মকেন্দ্রিক
৪৭। আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করে যে - আস্তিক
৪৮। আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত - আদ্যন্ত
৪৯। আকাশে গমন করে যে - বিহঙ্গ
৫০। আদরের সাথে - সাদরে
৫১। আটপ্রহর যা পরা যায় - আটপৌরে
৫২। আপনার রং লুকায় যে - বর্ণচোরা
৫৩। আমিষের অভাব - নিরামিষ
৫৪। আয় অনুসারে যিনি ব্যয় করেন - মিতব্যয়ী
৫৫। আত্মাকে অধিকার করে - অধ্যাত্ম
৫৬। আপনাকে ভুলে থাকে যে - আত্মভোলা
৫৭। আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে - পণ্ডিতমন্য
৫৮। আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার - নাস্তিক
৫৯। আজীবন অবিবাহিত আছে যে - চিরকুমার
৬০। আঘাতের বিপরীত - প্রত্যাঘাত, প্রতিঘাত
৬১। আদি নেই যার - অনাদি
৬২। আবক্ষ জলে নেমে স্নান - অবগাহন
৬৩। আয়নায় দেখা মূর্তি - প্রতিবিম্ব
৬৪। আরাধনার যোগ্য যিনি - আরাধ্য
৬৫। আদরিণী কন্যা - দুলালি
৬৬। ইতিহাস লেখেন যিনি - ঐতিহাসিক
৬৭। ইহলোক বিষয়ক - ঐহিক
৬৮। ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি - ইতিহাসবেত্তা
৬৯। ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে - জিতেন্দ্রিয়
৭০। ইষ্টক নির্মিত গৃহ - অট্টালিকা
৭১। ইহার তুল্য - ঈদৃশ
৭২। ইতঃপূর্বে দণ্ডিত ব্যক্তি - দাগি
৭৩। ইষৎ রক্তবর্ণ - আরক্ত
৭৪। ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন যিনি - আস্তিক
৭৫। ইষৎ আমিষ গন্ধ যার - আঁষটে
৭৬। ঈশ্বর বিষয়ক - ঐশ্বরিক
৭৭। ইষৎ নীলবর্ণ - নীলাভ
৭৮। ইষৎ হাস্য - স্মিত
৭৯। উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে - কৃতজ্ঞ
৮০। উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে - অকৃতজ্ঞ
৮১। উপকারীর অপকার করে যে - কৃতঘ্ন
৮২। উপকার করার ইচ্ছ - উপচিকীর্ষা
৮৩। উল্লেখ করা হয় না যা - উহ্য
৮৪। উপন্যাস রচয়িতা - ঔপন্যাসিক
৮৫। উপায় নেই যার - নিরুপায়
৮৬। উদ্ভিদের নতুন পাতা - পল্লব / কিশালয়
৮৭। ঊর্ধ্বদিকে গমন করে যে - ঊর্ধ্বগামী
৮৮। ঊর্ধ্ব থেকে নেমে আসা - অবতরণ
৮৯। ঊর্ধ্বদিকে গতি যার - ঊর্ধ্বগতি
৯০। ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ কনে যিনি - ঋত্বিক
৯১। ঋষির ন্যায় - ঋষিকল্প
৯২। ঋণশোধে অসমর্থ - দেউলিয়া
৯৩। একই গুরুর শিষ্য - সতীর্থ
৯৪। একই মাতার উদরে জাত যারা - সহোদর
৯৫। এ পর্যন্ত যার শত্রু জন্মায়নি - অজাতশত্রু
৯৬। এক থেকে আরম্ভ করে - একাদিক্রমে
৯৭। এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ঘুরে বেড়ায় যে - যাযাবর
৯৮। একই সময়ে - যুগপৎ
৯৯। একবার শুনলে যার মনে থাকে - শ্রুতিধর
১০০। একই কালে বর্তমান - সমকালীন
১০১। একই সময়ে বর্তমান - সমসাময়িক
১০২। একসঙ্গে যারা যাত্র করে - সহযাত্রী
১০৩। এঁটেল ও বেলেমাটির মিশ্রণ - দোআাঁশ
১০৪। ঐক্যের অভাব আছে যাতে - অনৈক্য
১০৫। ঐশ্বর্যের অধিকারী যিনি - ঐশ্বর্যবান
১০৬। ওষ্ঠ ও অধর - ওষ্ঠাধর
১০৭। ওষ্ঠের দ্বারা উচ্চারিত - ঔষ্ঠ্য
১০৮। ওজন করা হয় যে যন্ত্রের সাহায্যে - তুলাদণ্ড
১০৯। ঔষধি থেকে উৎপন্ন - ঔষধ
১১০। ঔষধের বিপণি - ঔষধালয়
১১১। ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য - পথ্য
১১২। কবিতা লেখেন যিনি - কবি
১১৩। কোথাও নত কোথাও উন্নত - বন্ধুর
১১৪। কাচের তৈরি ঘরে - শিশমহল
১১৫। ক্রিয়ার বিপরীত - প্রতিক্রিয়া
১১৬। কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী - কর্মঠ
১১৭। কর্মে অতিশয় কুশল - কর্মঠ
১১৮। কোকিলের ডাক - কুহু
১১৯। কন্ঠ পর্যন্ত - আকন্ঠ
১২০। কর্ণ পর্যন্ত - আকর্ণ
১২১। কী করতে হবে যে স্থির করতে পারে না - কীংকর্তব্যবিমূঢ়
১২২। কুৎসিত আকার যার - কদাকার
১২৩। কৃষি থেকে উৎপন্ন - কৃষিজ
১২৪। ক্ষমা করার ইচ্ছা - তিতিক্ষা
১২৫। কূলের বিপরীত - প্রতিকূল
১২৬। কিছু বলতে যার ঠোঁটে বাধে না - ঠোঁটকাটা
১২৭। খাইবার ইচ্ছা - ক্ষুধা
১২৮। খুব দীর্ঘ নয় - নাতিদীর্ঘ / অনতিদীর্ঘ
১২৯। খরচের হিসাব যার নেই - বেহিসেবি
১৩০। খাতাপত্র রাখার ঘর - দপ্তরখানা
১৩১। গণনার অযোগ্য - নগণ্য
১৩২। গাছে উঠতে পটু যে - গেছো
১৩৩। গৃহে থাকে যে - গৃহস্থ
১৩৪। গমনের ইচ্ছা - জিগমিষা
১৩৫। গোপন করার ইচ্ছা - জুগুপ্সা
১৩৬। গভীর রাত্রি - নিশীথ
১৩৭। গমন করতে পারে যে - জঙ্গম
১৩৮। গাড়ি চালায় যে - গাড়োয়ান
১৩৯। গ্রন্থ রাখার গৃহ - গ্রন্থাগার
১৪০। ঘোড়া থাকার স্থান - ঘোড়াশাল / আস্তাবল
১৪১। ঘোর অন্ধকার রাত্রি - তামসী / তমিস্রা
১৪২। ঘটনার বিবরণ - প্রতিবেদন
১৪৩। চক্ষু কর্ণ প্রভৃতি দ্বারা যা জানতে পারা যায় না - অতীন্দ্রিয়
চ
চিরস্থায়ী নয় যা - অনিত্য/নশ্বর
চৈত্র মাসের ফসল - চৈতালি
চিবিয়ে খেতে হয় যা - চর্ব্য
চার রাস্তার মিলনস্থল - চৌরাস্তা
চোখে দেখা যায় যা -চাক্ষুষ
চুষে খেতে হয় যা - চূষ্য
চক্ষুলজ্জাহীন ব্যক্তি - চশমখোর
চোখে দেখা যায় যা - প্রত্যক্ষ
চোখের দ্বারা দৃষ্ট - চাক্ষুষ
চিরকাল মনে রাখার যোগ্য - চিরস্মরণীয়
ছ
ন্দে নিপুণ যিনি - ছান্দসিক
ছয় মাস অন্তর - ষান্মাসিক
ছল করে কান্না - মায়াকান্না
জ
জানিবার ইচ্ছা - জিজ্ঞাসা
জয় করিবার ইচ্ছা- জিগীষা
জানু পর্যন্ত - আজানু
জলে স্থলে যে জন্তু বিচরণ করে - উভচর
জীবিত থেকেও যে মৃত - জীবনমৃত
জ্বল জ্বল করছে যা - জাজ বল্যমান
জয়সূচক যে উৎসব - জয়ন্তী
জল দেখে ভয় পাওয়া - জলাতঙ্ক
জলে চরে যে - জলচর
জলে জনেম যা - জলজ
ঝড়ের প্রচ- ধাক্কা - ঝাপট
ঝন ঝন শব্দ - ঝঙ্কার/ঝনৎকার
ট
টাইমের বাইরে - বেটাইম
টোল পড়েনি এমন - নিটোল।
ঠ
ঠিক নয় - বেঠিক
ঠাকুরের ভাব - ঠাকুরালি
ঠান্ডায় পীড়িত - শীতার্ত।
ড
ডুব দিতে জানে যে - ডুবুরি
ডাক বহন করে যে - ডাকহরকরা
ডিঙি বইবার দাঁড় - বৈঠা
ঢ
ঢিপির মতো - ঢ্যাপসা
ঢাক বাজায় যে - ঢাকি
ত
তাল জ্ঞান নেই যার - তালকানা
তির নিক্ষেপ করে যে - তিরন্দাজ
তালু থেকে উচ্চারিত - তালব্য
তার মতো - তাদৃশ
তবলায় নিপুণ - তবলচি
ত্রিকাল দর্শন করেন যিনি - ত্রিকালদর্শী
ত্রাণ করেন যিনি - ত্রাতা
তুলা থেকে তৈরি - তুলট
তল স্পর্শ করা যায় না যার - অতলস্পর্শ
দ
দিবসের শেষ ভাগ - অপরাহ ন
দ্বীপের সদৃশ - উপদ্বীপ
দেহে, মনে ও কথায় - কায়মনোবাক্যে
দু’দিকে অপ যার - দ্বীপ
দু’বার জনম হয় যার - দ্বিজ
দু’রথীর যুদ্ধ - দ্বৈরথ
দোহনের যোগ্য - দোহনীয়
দু’বার বলা - দ্বিরুক্তি
দু’হাতে সমান কাজ করতে পারে যে - সব্যসাচী
দাড়ি জনেম নি যার - অজাতশ্মশ্রু
দেখা যায় না যা - অদৃশ্য
ধ
ধ্যান করেন যিনি - ধ্যানী
ধূলায় পরিণত - ধূলিসাৎ
ধীরে যে গমন করে - ধীরগামী/মন্দগামী
ধনের দেবতা - কুবের
ন
নৌক চালনা করে যে - নাবিক
নূপুরের ধ্বনি - নিক্কণ
নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময় - নিদাঘ
নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার - নশ্বর
নিকৃষ্ট ব্যক্তি - দুর্জন
নাটকের পাত্রপাত্রী - কুশীলব
নৌ চলাচলের যোগ্য - নাব্য
নিষ্কাশিত সারবস্ত্ত - নির্যাস
প
পা থেকে মাথা পর্যন্ত - আপাদমস্তক
পান করার ইচ্ছা - পিপাসা
পরে জনেমছে যে - অনুজ
পূর্বে ছিল এখন নেই - ভূতপূর্ব
পিতার ভ্রাতা - পিতৃব্য
পাখির কলরব - কুজন
পূর্বে যা শোনা যায়নি - অশ্রুতপূর্ব
পুর্বে যা দেখা যায়নি - অদৃষ্টপূর্ব
পান করার যোগ্য নয় - অপেয়
পশ্চাতে গমন করে যে - অনুগামী
পেতে ইচ্ছা -ঈপ্সা
পরস্পরে আলিঙ্গন - কোলাকুলি
পশুহত্যা করে যে - কসাই
পরের ভালো যে দেখতে পারে না - পরশ্রীকাতর
পুরাকালের বিষয় যিনি জানেন - পুরাতাত্ত্বিক
পান করার যোগ্য - পেয়।
পঙ্কে জনেম যা - পঙ্কজ
পড়া হয়েছে যা - পঠিত
পরিমিত ব্যয় করে যে - মিতব্যয়ী
পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে যা - দেদীপ্যমান
পরিমিত আহার করে যে - মিতাহারী
ফ
ফল পাকিলে যে গাছ মরিয়া যায় - ওষধি
ফুল হতে জাত - ফুলেল
ফুটছে এমন - ফুটন্ত
ব
বাঘের চামড়া - কৃত্তি
বসন আগলা যার - অসংবৃত
বিসংবাদ নেই যাতে - অবিসংবাদিত
বিদেশে থাকে যে -প্রবাসী
বিশ্বজনের হিতকর - বিশ্বজনীন
বহুর মধ্যে একটি - অন্যতম
বর্ণনা করা যায় না যা - অবর্ণনীয়
বুকে হেঁটে গমন করে যে - উরগ
বলা হয়েছে যা - উক্ত
বাস্ত্ত থেকে উৎখাত হয়েছে যে - উদ্বাস্ত্ত
বপন করা হয়েছে যা - উপ্ত
বীণার ধ্বনি - ঝঙ্কার
বচনে কুশল - বাগ্মী
বেদ সম্বন্ধীয় - বৈদিক
বৃদ্ধি পাওয়া যার স্বভাব - বর্ধিষ্ণু
বেশি কথা বলে যে - বাচাল
বিধিকে অতিক্রম না করে - যথাবিধি
ভ
ভিতর থেকে গোপনে ক্ষতিসাধন - অন্তর্ঘাত
ভ্রমরের শব্দ - গুঞ্জন
ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কাজ করে যে - দূরদর্শী
ভোজন করতে যে চায় - বুভুক্ষু
ভস্মে পরিণত হয়েছে যা - ভস্মীভূত
ভ্রমণ করা স্বভাব যার - ভ্রমর
ম
মমতা নেই যার - নির্মম
মরণ পর্যন্ত - আমরণ
মৃতের মতো অবস্থা যার - মুমূর্ষু
ময়ূরের ডাক - কেকা
মর্মকে ভেদ করে যা - মর্মভেদী
মরে না যে - অমর
মনোগত ইচ্ছা - ঈপ্সিত
মুক্তি পেতে ইচ্ছুক - মুমুক্ষু
মধু পান করে যে - মধুপ
মর্ম স্পর্শ করে যা - মর্মস্পর্শী
মন হরণ করে যা - মনোহর
মৃৎ অঙ্গ যার - মৃদঙ্গ
য
যা হতে পারে না - অসম্ভব
যা বিশ্বাস করা যায় না - অবিশ্বাস্য
যা মৃতের মতো - মৃতবৎ
যা সহজে লাভ করা যায় - সুলভ
যা যুক্তিসঙ্গত নয় - অযৌক্তিক
যা দেখা যায় না - অদৃশ্য
যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে - বর্ধিষ্ণু
যা পূর্বে কখনও দেখা যায়নি - অদৃষ্টপূর্ব
যা কষ্টে জয় করা যায় - দুর্জয়
যা জলে ও স্থলে চরে - উভচর
যা লেহন করে খেতে হয় - লেহ্য
যা বর্ণনা করা যায় না - অবর্ণনীয়
যা সারাদিন ব্যবহার করা হয় - আটপৌরে
যা পূর্বে ছিল এখন নাই - ভূতপূর্ব
যা পরিমাপ করা যায় না - অপরিমেয়
যা বলার যোগ্য নয় - অকথ্য
যা অতি দীর্ঘ নয় - নাতিদীর্ঘ
যা উড়ছে - উড্ডীয়মান
যার বংশ পরিচয় ও স্বভাব কেউ জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল
যা সহজে ভেঙে যায় - ভঙুর
যা প্রবীণ বা প ্রাচীন নয় - অর্বাচীন
যা চিবিয়ে খাওয়া যায় - চর্ব্য
যা জলে জনেম - জলজ
যা কষ্টে জয় করা যায় - দুর্জয়
যা কষ্টে নিবারণ করা যায় - দুর্নিবার
যার কোনো ভয় নেই - অকুতোভয়
যার শেষ নেই - অশেষ
যা উড়িতেছে - উড্ডীয়মান
যা নিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে - পরিবর্তনশীল
যা পূর্বে দেখা যায় নি - অদৃষ্টপূর্ব
যা কষ্টে লাভ করা যায় - দুর্লভ
যা বপন করা হয়েছে - উপ্ত
যা মাটি ভেদ করে ওঠে - উদি ভদ
যা পানের যোগ্য - পেয়
যা উদিত হয়েছে - উদীয়মান
যা দমন করা যায় না - অদম্য
যাতে হৃদয় বিদীর্ণ হয় - হৃদয়বিদারক
যার কোথাও কোনো ভয় নাই - অকুতোভয়
যার স্ত্রী বিগত হয়েছে - বিপত ণীক
যার হৃদয় শোভন - সুহৃদ
যারা এক মাতার গর্ভে জনম গ্রহণ করেছে - সহোদর
যার গন্ধ ভালো - সুগন্ধ
যার আকার কুৎসিত - কদাকার
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে - প্রত্যুৎপন্নমতি
যার অন্য উপায় নেই - অনন্যোপায়
যিনি অধিক ব্যয় করেন না - মিতব্যয়ী
যিনি বক্তৃতা দানে পটু - বাগ্মী
যিনি বিদ্যালাভ করেছেন - কৃতবিদ্য
যিনি কষ্ট সহ্য করতে পারেন - কষ্টসহিষ্ণু
যে স্ত্রীর বশীভূত - স্ত্রৈণ
যে নারীর সন্তান হয় না - বন্ধ্যা
যে রমণী প্রিয় কথা বলে - প্রিয়ংবদা
যে উপকারীর অপকার করে - কৃতঘ্ন
যে গমন করে না - নগ
যে হিত ইচ্ছা করে - হিতৈষী
যে জামাই শ্বশুর বাড়িতে থাকে - ঘরজামাই
যে গাছ কোনো কাজে লাগে না - আগাছা
যে পুরুষ বিয়ে করেনি - অকৃতদার
যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে - অবিমৃষ্যকারী
যে রমণীর বিয়ে হয় নি - কুমারী/অনূঢ়া
যে জমিতে দুবার ফসল হয় - দোফসলী
র
রব শুনে এসেছে যে - রবাহুত
রেশমের দ্বারা তৈরি - রেশমি
রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ায় যে - হাতুড়ে
ল
লজ্জা বেশি যার - লাজুক
লজ্জা নেই যার - নির্লজ্জ, বেহায়া
লাভ করিবার ইচ্ছা - লিপ্সা
লোক গণনা - আদমশুমারি
লয় প্রাপ্ত হয়েছে যা - লীন
শ
শ্রবণের যোগ্য - শ্রব্য
শ্রদ্ধার যোগ্য - শ্রদ্ধেয়
শৈশবকাল থেকে - আশৈশব
শত পাপড়িবিশিষ্ট - শতদল
শত অব্দের সমাহার - শতাব্দী
ষ
ষোল বছর বয়স্কা - ষোড়শী
সহজে ভয় পায় যে - ভীরু/ভীতু
সমস্ত জীবন ব্যাপী - যাবজ্জীবন
স
সবচেয়ে বড় - জ্যেষ্ঠ্য
সবচেয়ে ছোট - কনিষ্ঠ
সকলের জন্য প্রযোজ্য - সার্বজনীন
সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ - সর্বশ্রেষ্ঠ
সেবা করেন যিনি - সেবক/সেবিকা
সর্বজনের হিতকর - সর্বজনীন
স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান - সস্ত্রীক।
হ
হস্তীর ডাক - বৃংহতি
হরিণের চামড়া - অজিন
হিসাব করে চলে না যে - বেহিসাবি
হিমালয় হইতে সমুদ্র পর্যন্ত - আসমুদ্রহিমাচল
হনন করার ইচ্ছা - জিঘাংসা
হেমন্তে জাত - হৈমন্তিক
আরো কিছু এক কথায় প্রকাশ নিম্নে দেয়া হলো:
১। যা দমন করা কষ্টকর - দুর্দমনীয়।
২। যা দীপ্তি পাচ্ছে - দেদীপ্যমান।
৩। মৃতের মতো অবস্থা যার - মুমূর্ষু।
৪। যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায় - সর্বংসহা।
৫। যা পূর্বে দেখা যায়নি এমন - অভূতপূর্ব।
৬। আকাশে উড়ে বেড়ায় যে - আকাশচারী।
৭। উপকারীর অপকার করে যে - কৃতঘ্ন।
৮। এর তুল্য - ঈদৃশ।
৯। সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা - প্রত্যুদগমন।
১০। যে বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই - অবিসংবাদিত।
১১। চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত - চাক্ষুষ।
১২। উদরই সব যার - উদরসর্বস্ব।
১৩। কষ্টে নিবারণ করা যায় না যা - অনিবার্য।
১৪। দেখা যায়নি যা - অদৃশ্য।
১৫। যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে - প্রোষিতভর্তৃকা।
১৬। উপস্থিত বুদ্ধি আছে যার - প্রত্যুপন্নমতি।
১৭। ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য - ক্ষমার্হ।
১৮। যিনি বক্তৃতায় পটু - বাগ্মী।
১৯। লাভের ইচ্ছা - লিপ্সা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions