ভাষণ লেখার নিয়ম
কোনো সভা-সমাবেশ বা অনুষ্ঠানে বক্তা যা বলেন অর্থাৎ তার বক্তব্যকে সাধারণত ভাষণ বলা হয়। বাচন বা বাকশিল্পের একটি বিষয় হলো ভাষণ। বিভিন্ন প্রয়োজনে সভা-সমিতিতে, নানা অনুষ্ঠানে কিংবা আয়োজনে বা কোনো আলোচনায় অনেককে বক্তব্য প্রদান করতে হয়। ভাষণে কোনো বিষয় সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করতে হয়। ভাষণ মাধুর্যমন্ডিত ও সাবলীল হওয়া উচিত। প্রাচীন গ্রিস ও রোমে বক্তৃতাবিদ্যা বা বাগ্মিতার চর্চা করা হতো। বাগ্মিতার জন্য গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস স্মরণীয়। যিনি ভাষণ দেন তাকে বলে বক্তা এবং যারা সেই বক্তব্য শোনেন তাকে বলা হয় শ্রোতা। ভাষণে কোনো একটি বিষয়কে সাবলীল ও আকর্ষণীয়ভাবে শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করতে হয়। কোনো সভা-সমাবেশ বা অনুষ্ঠানে বক্তা যা বলেন অর্থাৎ তার বক্তব্যকে সাধারণত ভাষণ বলা হয়। বাচন বা বাকশিল্পের একটি বিষয় হলো ভাষণ।
ভাষণের প্রয়োজনীয়তা
সাধারণত কোনো একটি বিষয় শ্রোতা-দর্শকদের কাছে বোধগম্য ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য ভাষণের গুরুত্ব অনেক। কোনো বিষয়ে জনমত গঠনে অথবা কোনো পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণের সমর্থনে ভাষণ খুব কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ভাষণের উদ্দেশ্য হলো কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে মানুষকে বুঝিয়ে বলা।
ভাষণ লেখার নিয়ম সমূহ নিম্নে দেয়া হলো:
১. বিষয়বস্তু সম্পর্কে বক্তার স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
২. বক্তব্যে যুক্তি ও ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। এলোমেলো বক্তব্য শ্রোতাকে আকৃষ্ট করতে পারে না।
৩. বক্তব্যে আবেগ-আন্তরিকতা ও বক্তার গভীর বিশ্বাসের ছাপ থাকতে হবে যাতে শ্রোতারা মনে না করে যে, তিনি কৃত্রিম কথা বলছেন।
৪. ভাষণে চলিত ভাষা ব্যবহার করতে হবে- সাধুভাষা গ্রহণযোগ্য হয় না।
৫. উচ্চারণ ও বাচনভঙ্গি সুন্দর হলে ভাষণ শুনতে ভালো লাগে।
৬. ভাষণে আঞ্চলিকতা ও অন্যান্য মুদ্রাদোষ পরিহার করা উচিত।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions