আমিষ কাকে বলে
আমিষ বা প্রোটিন হলো দেহের প্রাথমিক খাদ্য। এটি বৃহদাকার সক্রিয় জৈব রাসায়নিক যৌগ। কার্বন (৫৪%), অক্সিজেন (২০%), হাইড্রোজেন (৭%), নাইট্রোজেন (১৫%) এবং কখনও কখনও সালফার (১%) ও ফসফরাসের (০.৬%) সমন্বয়ে প্রোটিন গঠিত।
আমিষের প্রয়োজনীয়তা নারী-পুরুষভেদে ভিন্নতা দেখা দেয়। আমাদের দেহের বৃদ্ধি পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত হয়ে থাকে। দেহের বৃদ্ধির জন্য আমিষের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। আমিষ পরিপাক হয়ে অ্যামাইনো এসিডে রূপান্তরিত হয়। দেহে আমিষের প্রধান কাজ কোষগঠনের সহায়তা করা। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক আমিষের প্রয়োজন ৬৫ গ্রাম, পণূবয়স্ক নারীর ক্ষেত্রে এ পরিমাণ ৫৫ গ্রাম।
মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ, তৈলবীজ, শিমের বীজ প্রভৃতি আমিষ জাতীয় খাদ্য। এছাড়া শুটকি মাছে ও মসূর ডালে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। উচ্চ শ্রেণীর প্রোটিন জাতীয় খাদ্য হল প্রাণীজ আমিষ এবং নিম্ন শ্রেণীর প্রোটিন হলো উদ্ভিজ আমিষ। দেহের বৃদ্ধিসাধন, ক্ষয়পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ করা এ জাতীয় খাদ্যের কাজ। ডাল হলো নিম্নশ্রেণীর প্রোটিন। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন থাকে। ডালে অধিক পরিমাণে প্রোটিন থাকে। মাছ-মাংসের সাথে ডাল তুলনা করলে একে গরীবের মাংস বলা হয়। মশুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ ২৫.১ ভাগ, ছোলার ডালে ২১ ভাগ, মটর ডালে ২২.১ ভাগ, সোনামুগ ডালে ২৬ ভাগ, খেসারির ডালে ২৯ ভাগ, মাষকলাই ডালে প্রোটিনের পরিমাণ ২৫ ভাগ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions