পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য
পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য সমূহ নিম্নে দেয়া হলো:
১। স্তরীভূত: পাললিক শিলার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা স্তরীভূত অর্থাৎ এরা স্তরে স্তরে অবস্থান করে, তাই একে স্তরীভূত শিলাও বলা হয়।
২। জীবাশ্মবিশিষ্ট: পাললিক শিলাস্তরে জীবাশ্মের উপস্থিতি এদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যে সকল জীব এই শিলাঞ্চলে বাস করে তাদের মৃতদেহ কালক্রমে পলির নীচে চাপা পড়ে। এর ফলে উহাদের কঠিন অংশ প্রস্তরীভূত হয়ে জীবাশ্মে পরিণত হয়। তাই পাললিক শিলা জীবাশ্ম বিশিষ্ট।
৩। অকেলাসিত: ইহা অকেলাসিত শিলা। কারণ ইহা কখনও উত্তপ্ত অবস্থা হতে শীতল হয়ে সৃষ্টি হয় না।
৪। তরঙ্গ চিহ্ন: ইহা তরঙ্গ চিহ্নযুক্ত শিলা। জলভাগের তলদেশে এই জাতীয় শিলার সৃষ্টি হয় বলে ইহার মধ্যে তরঙ্গচিহ্ন বর্তমান থাকে। আবার বায়ু দ্বারা গঠিত পাললিক শিলাও বাতাসের দ্বারা তরঙ্গ চিহ্নের সৃষ্টি হয়।
৫। কোমলতা: আগ্নেয় শিলার ভগ্নাংশ সঞ্চিত হয়ে পাললিক সৃষ্টি হয় বলে এই শিলা অন্য শিলা থেকে অপেক্ষাকৃত কোমল থাকে।
ভূ-পৃষ্ঠের প্রাথমিক শিলাগুলি ক্রমে রৌদ্র, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ, প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে নদী, বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা বাহিত হয়ে সমুদ্র, হ্রদ, বা কোন নিম্নভূমিতে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে থাকে। এভাবে সঞ্চিত শিলাসমূহ উপরের স্তরের এবং ভূ-গর্ভের চাপে ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে পাললিক শিলা বলে। আসলে পলি দ্বারা গঠিত বলে একে পাললিক শিলা বলা হয।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions