সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা কি
অর্থনৈতিক সম্পদ দুষ্প্রাপ্য অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় সম্পদের যোগান সীমিত। সম্পদের পরিমাণ অসীম হলে কোন অর্থনৈতিক সমস্যা থাকত না। ফলে কি, কিভাবে এবং কার জন্য উৎপাদিত হবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা থাকত না। মানুষ যে দ্রব্য ও সেবাকার্য চাইত তাই অসীম পরিমাণে পেত অর্থাৎ তাদের বস্ত্তগত অভাব সম্পূর্ণভাবে পূরণ হয়। সুতরাং কি উৎপাদিত হবে এ সমস্যা দেখা দিত না। যেহেতু সকল সম্পদ অসীম পরিমাণে পাওয়া যায় সেজন্য কোন দ্রব্য ও সেবাকার্য উৎপাদনে সম্পদ ব্যবহারে মিতব্যয়িতার দরকার হত না। অর্থাৎ কিভাবে উৎপাদিত হবে এ সমস্যা দেখা দিত না। পরিশেষে যেহেতু প্রত্যেকে যা খুশী এবং যত পরিমাণে খুশী তাই পেত সেজন্য দ্রব্য ও আয় কিভাবে বন্টিত হয় তার কোন গুরুত্ব থাকত না।
এরূপ অবস্থায় কোন অর্থনৈতিক দ্রব্য থাকত না অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় যোগান সীমিত বা দুষ্প্রাপ্য দ্রব্য থাকত না। এ অবস্থায় অর্থনীতি পাঠের প্রয়োজন হত না বা সম্পদ ব্যবহারে মিতব্যয়িতার প্রয়োজন হত না। সকল দ্রব্য অবাধলভ্য দ্রব্য হত - বায়ু বা দক্ষিণ মেরুতে বরফ বা মরুভূমিতে বালুর মত।
কিন্তু সকল দ্রব্য অবাধলভ্য নয়। কারণ দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত ভূমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি, শ্রম ও অন্যান্য সম্পদের যোগান অসীম নয়। এটা ঠিক যে সময়ের সাথে অর্থনীতির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সেসংগে মানুষের বস্ত্তগত অভাবও বৃদ্ধি পায়। ফলে চাহিদার তুলনায় সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা সকল অর্থনীতিতে সব সময় বিদ্যমান থাকে। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের মত ধনী দেশ অথবা নেপাল, বাংলাদেশ ইত্যাদির মত দরিদ্র দেশ উভয় ক্ষেত্রে এটি সত্য।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions