বীমা কাকে বলে?
প্রতিটি ব্যবসায়ের সাথেই ঝুঁকি জড়িত। আর ঝুঁকি সম্পূর্ণভাবে একটি আপেক্ষিক বিষয়। এটা হতে পারে লোকসানের ঝুঁকি অথবা সম্পত্তি, গাড়ি, আগুন বন্যা, দুর্ঘটনা এমনকি চুরিজনিত ঝুঁকি। এখন এরকম ঝুঁকির ক্ষেত্রে অন্য কাউকে দোষারোপ করাও যায় না। আবার ক্ষতিপূরণও করা যায় না। ব্যবসায়ের এ জাতীয় ঝুঁকি বহনের এই অসুবিধার দরুনই বীমা প্রতিষ্ঠান মানুষের সকল ঝুঁকির বীমা করে থাকে।
তাহলে বীমা হচ্ছে এমন একটি দলিল যাতে বীমাকৃত সম্পত্তির বা দ্রব্যের বা ব্যক্তির যাবতীয় বৈশিষ্ট্য এবং যার বিপরীতে বীমা হচ্ছে তার পূর্ণ বিবরণ দেয়া থাকে।
এখন কথা হচ্ছে, সব ঝুঁকির তো আর বীমা করা সম্ভব নয়। যেমন ধরুন যুদ্ধের কথা। যুদ্ধ হলে ক্ষতি হবেই। এই জাতীয় ঝুঁকির বীমা করা সম্ভব নয়। তাহলে দু'রকমের ঝুঁকি পাওয়া যাচ্ছে –
ক. নিশ্চিত ঝুঁকি ও
খ. অনিশ্চিত ঝুঁকি
নিশ্চিত ঝুঁকি হচ্ছে যে সব দ্রব্যের ঝুঁকি বীমা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পূরণ করা যায়। যে সমস্ত দ্রব্যের পরিবর্তন গাণিতিকভাবে গণনা করা যায় এবং কোন ক্ষতি হলে তার মূল্য নির্ধারণ করা যায় তা-ই নিশ্চিত ঝুঁকি। এই ঝুঁকির মূল্য নির্ধারণই হচ্ছে বীমার কিস্তির ভিত্তি। বীমা প্রতিষ্ঠান এই জাতীয় ঝুঁকি বহন করে কারণ –
ক. ঝুঁকি বহনকারী বহুলোক তাদের ঝুঁকি দূর করার জন্য বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী হয়।
খ. শুধু অল্পসংখ্যকই ক্ষতির স্বীকার হয়।
গ. দীর্ঘমেয়াদে বীমার দাবী ঐ সময়ে এদের কিস্তির চেয়ে কম হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions