Home » » অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (API) কি?

অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (API) কি?

api

 অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (API) শব্দটি আজকের প্রযুক্তিগত জগতে খুব পরিচিত। এটি এমন একটি সিস্টেম বা ইন্টারফেস যা সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে যোগাযোগ এবং ডাটা বিনিময় সহজ করে তোলে। সাধারণত যখন কোনো সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মধ্যে তথ্য বা সেবা আদান-প্রদান হয়, তখন API এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আজকের ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং সেবা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে API এর মাধ্যমে।

এই ব্লগ পোস্টে, আমরা API এর বিভিন্ন দিক বিশদে আলোচনা করবো—এর মূল ধারণা, কাজ, প্রকারভেদ, এবং কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, আমরা API কীভাবে আধুনিক ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে প্রভাব ফেলছে তা বিশ্লেষণ করব।

API এর মূল ধারণা

API এর সংজ্ঞা

API, বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস, হল একটি সেট কমান্ড, প্রোটোকল এবং টুলস যা সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। এটি ডেভেলপারদের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে যা একাধিক অ্যাপ্লিকেশনকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে কাজ করতে সক্ষম করে।

API এর কাজ

API মূলত একটি সংযোগ সেতু হিসেবে কাজ করে যেখানে দুটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন বা সিস্টেম পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি কোনো মোবাইল অ্যাপ থেকে কোনো ওয়েবসাইটে লগইন করেন, তখন সেই লগইন প্রক্রিয়ায় API ব্যবহৃত হয়।

  • ডাটা আদান-প্রদান: API বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বা সিস্টেমের মধ্যে ডাটা আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরি করে।
  • ফাংশন এক্সিকিউশন: API ব্যবহার করে এক অ্যাপ্লিকেশন অন্য অ্যাপ্লিকেশনের ফাংশন ব্যবহার করতে পারে।
  • ইন্টিগ্রেশন: API সফটওয়্যারের ইন্টিগ্রেশনকে সহজ করে তোলে, যা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বা প্রযুক্তি একসাথে কাজ করতে সাহায্য করে।

API এর উদাহরণ

আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের API এর ব্যবহার দেখতে পাই। কিছু সাধারণ উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:

  • Google Maps API: মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গুগল ম্যাপকে ইন্টিগ্রেট করতে এই API ব্যবহৃত হয়।
  • Payment Gateway API: অনলাইন পেমেন্টের জন্য যেমন PayPal, Stripe এর মতো পেমেন্ট গেটওয়ের API ব্যবহৃত হয়।
  • Social Media API: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook বা Twitter এর API ব্যবহার করে তাদের ডাটা অ্যাক্সেস করা যায়।

API এর গুরুত্ব

API প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কেবল তথ্য এবং সেবা আদান-প্রদানের একটি উপায় নয় বরং নতুন প্রযুক্তির বিকাশ এবং সংযোগ ঘটানোরও একটি শক্তিশালী মাধ্যম।

সহজ ইন্টিগ্রেশন

API বিভিন্ন সফটওয়্যার বা সিস্টেমকে একসঙ্গে কাজ করতে সাহায্য করে। এটি একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে ডাটা সরাসরি স্থানান্তর করার সুবিধা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তাদের পণ্য ইনভেন্টরি অ্যাপের সাথে সংযুক্ত করে, তখন API এর মাধ্যমে সরাসরি ডাটা শেয়ার করা সম্ভব হয়।

অটোমেশন

API ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ অটোমেশন করা যায়। যেমন, অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইটের ব্যাকএন্ড কাজকে অটোমেট করতে API ব্যবহৃত হয়, যা ম্যানুয়াল কাজ কমিয়ে ফেলে এবং সময় সাশ্রয় করে।

উন্নত কার্যক্ষমতা

API ব্যবহার করে বিভিন্ন সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় এবং দ্রুত হয়। এটি কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং ইউজার এক্সপিরিয়েন্স উন্নত করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি মোবাইল অ্যাপকে API ব্যবহার করে কোনো সার্ভারের সাথে সংযুক্ত করা হলে, ব্যবহারকারীরা খুব দ্রুত তথ্য পেতে পারে।

API এর প্রকারভেদ

API এর বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে এবং প্রতিটি প্রকারের আলাদা ব্যবহার এবং উপযোগিতা রয়েছে।

১. REST API

REST (Representational State Transfer) হল সবচেয়ে প্রচলিত এবং বহুল ব্যবহৃত API আর্কিটেকচার। এটি একটি সরল এবং নমনীয় ডিজাইন যা ওয়েব সার্ভিসগুলির সাথে কাজ করতে ব্যবহার করা হয়। REST API সাধারনত HTTP প্রোটোকল ব্যবহার করে ডাটা পাঠায় এবং গ্রহণ করে।

  • লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য:
    • HTTP প্রোটোকল ব্যবহার করে।
    • JSON, XML এর মতো ডাটা ফর্ম্যাট সমর্থন করে।
    • উচ্চ কার্যক্ষমতা এবং স্কেলেবিলিটি।

২. SOAP API

SOAP (Simple Object Access Protocol) একটি প্রাচীনতর এবং আরও জটিল API প্রোটোকল যা XML এর মাধ্যমে ডাটা বিনিময় করে। এটি বিশেষত বড় এবং সুরক্ষিত সংস্থাগুলিতে ব্যবহৃত হয়।

  • লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য:
    • স্ট্রিক্ট প্রোটোকল এবং সিকিউরিটি।
    • সাধারণত বড় এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
    • শুধুমাত্র XML ফর্ম্যাটে কাজ করে।

৩. GraphQL API

GraphQL হল একটি নতুন ধরনের API যা ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী ডাটা কুয়েরি করার সুযোগ দেয়। এটি অনেকটাই REST এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং অনেক বেশি নমনীয়তা প্রদান করে।

  • লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য:
    • কুয়েরি-ভিত্তিক ডাটা আহরণ।
    • বেশি নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দিষ্ট ডাটা ফেরত আনার ক্ষমতা।
    • একাধিক API কলের পরিবর্তে একটি মাত্র API কল।

৪. WebSocket API

WebSocket API রিয়েল-টাইম যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে দুই দিকের যোগাযোগের সুবিধা প্রদান করে।

  • লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য:
    • রিয়েল-টাইম ডাটা শেয়ারিং।
    • কম লেটেন্সি এবং দ্রুত যোগাযোগ।
    • চ্যাট অ্যাপ্লিকেশন বা লাইভ স্ট্রিমিং সার্ভিসের জন্য আদর্শ।

API ডেভেলপমেন্টের ধাপসমূহ

API ডেভেলপমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এবং এর ধাপগুলো নিম্নরূপ:

১. প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ

API তৈরি করার পূর্বে প্রথমেই এর প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে হয়। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে API এর কাজ কি হবে, কারা এটি ব্যবহার করবে এবং কী ধরণের ডাটা এটি প্রক্রিয়াকরণ করবে।

২. API ডিজাইন

API ডিজাইন করার সময় ফাংশনালিটি, ডাটা ফরম্যাট, এবং প্রোটোকল ঠিক করা হয়। REST বা GraphQL এর মতো আর্কিটেকচার বেছে নেওয়া API ডিজাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩. ডকুমেন্টেশন

API এর সঠিক ডকুমেন্টেশন তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে ব্যবহারকারীদের জন্য API এর প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন যেমন এন্ডপয়েন্ট, ডাটা ফরম্যাট, এবং ব্যবহারের নিয়মাবলী উল্লেখ থাকে।

৪. API টেস্টিং

API ডেভেলপমেন্টের পরে এটি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হয় যে এটি ঠিক মতো কাজ করছে। সাধারণত Postman বা Swagger এর মতো টুল ব্যবহার করে API এর টেস্টিং করা হয়।

API এর সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা

সুবিধা

  • সহজ ইন্টিগ্রেশন: API বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং প্ল্যাটফর্মকে সহজেই ইন্টিগ্রেট করতে সহায়তা করে।
  • অটোমেশন: API বিভিন্ন প্রক্রিয়া অটোমেট করতে সাহায্য করে, যা সময় বাঁচায়।
  • রিয়েল-টাইম তথ্য প্রাপ্তি: API ব্যবহার করে রিয়েল-টাইমে তথ্য শেয়ার এবং আহরণ করা যায়।
  • স্কেলেবিলিটি: API এর মাধ্যমে সহজেই বড় স্কেল সিস্টেম তৈরি করা যায়।

সীমাবদ্ধতা

  • নিরাপত্তা ঝুঁকি: API তে ভুলভাবে ইন্টিগ্রেশন বা সিকিউরিটি ফাঁকির কারণে ডাটা লিক বা হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থাকে।
  • ডিপেন্ডেন্সি: API ভিত্তিক সিস্টেমের উপর নির্ভরশীলতা বাড়লে কিছু ক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
  • কমপ্লেক্সিটি: কিছু API বিশেষ করে SOAP বা XML ভিত্তিক API গুলো অনেক বেশি জটিল এবং ব্যবহার করা কিছুটা কঠিন হতে পারে, বিশেষত যখন নতুন ডেভেলপাররা এগুলো নিয়ে কাজ করেন। REST এর তুলনায় SOAP এর মতো প্রোটোকলগুলি বেশ স্ট্রিক্ট এবং তাদের ব্যবহারের জন্য প্রচুর ডিটেইলস জানা প্রয়োজন হয়।

API এর ভবিষ্যৎ

API এবং ক্লাউড কম্পিউটিং

ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রসারের সাথে সাথে API এর ব্যবহার আরও বেড়েছে। বিশেষ করে SaaS (Software as a Service) ভিত্তিক পরিষেবা গুলোতে API ব্যবহার এখন খুব সাধারণ। ক্লাউড সার্ভিস যেমন AWS, Google Cloud এবং Azure তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন API প্রদান করে যার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহার করা যায়।

মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচার এবং API

মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচার (Microservice Architecture) এখন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের অন্যতম জনপ্রিয় ধারা। এই আর্কিটেকচারে একটি অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট ছোট স্বতন্ত্র ইউনিটে ভাগ করা হয়, যা API এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে। এর ফলে বড় এবং জটিল অ্যাপ্লিকেশনগুলোর উন্নয়ন এবং পরিচালনা অনেক সহজ হয়ে ওঠে। মাইক্রোসার্ভিস এবং API একত্রে কাজ করে বড় স্কেল সিস্টেম গুলোকে কার্যকর করে তোলে।

API এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং API এর সংযোগ আগামী দিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন AI সেবা, যেমন মেশিন লার্নিং বা প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, API এর মাধ্যমে সহজেই অ্যাক্সেস করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, Google-এর AI API বা OpenAI এর ChatGPT API ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা যুক্ত করা যায়।

ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) এবং API

ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) এর উদ্ভাবন এবং বিকাশে API এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইস এবং সেন্সর API এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি রিয়েল-টাইম ডাটা শেয়ারিং এবং অটোমেশনকে আরও উন্নত করে তোলে। স্মার্ট হোম সিস্টেম, স্মার্ট গাড়ি বা স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য API এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

API এর নিরাপত্তা

API এর মাধ্যমে ডাটা আদান-প্রদান করা হয়, ফলে এটি নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয় হতে পারে। সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে API আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আলোচনা করা হল যা API সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে:

১. API কী ব্যবহারের মাধ্যমে অথেনটিকেশন

API ব্যবহার করার আগে ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট একটি API কী প্রদান করা হয়, যা তাদের পরিচয় যাচাই করে এবং API অ্যাক্সেসের অনুমতি দেয়। এটি একটি সাধারণ অথেনটিকেশন পদ্ধতি যা অনেক API প্রদানকারী ব্যবহার করে।

২. OAuth ব্যবহার

OAuth একটি উন্নত অথেনটিকেশন পদ্ধতি যা ব্যবহারকারীদের অন্য প্ল্যাটফর্মের অথেনটিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করে API অ্যাক্সেসের অনুমতি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি একটি অ্যাপ্লিকেশনের জন্য Google বা Facebook অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লগইন করেন, তখন OAuth প্রটোকল ব্যবহার করা হয়।

৩. এনক্রিপশন

API এর মাধ্যমে ডাটা আদান-প্রদানের সময় তা এনক্রিপ্ট করা উচিত, যাতে তৃতীয় পক্ষ ডাটাতে প্রবেশ করতে না পারে। HTTPS প্রোটোকল ব্যবহার করে API ট্র্যাফিক এনক্রিপ্ট করা সম্ভব।

৪. রেট লিমিটিং

API এর সুরক্ষার জন্য রেট লিমিটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। এতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কতবার API কল করা যাবে তার সীমা নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় ট্রাফিক বা ডিনায়াল অফ সার্ভিস (DoS) আক্রমণ প্রতিহত করা যায়।

API ব্যবহারের জনপ্রিয় ক্ষেত্রসমূহ

API এখন প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। নীচে কিছু প্রধান ক্ষেত্র উল্লেখ করা হল যেখানে API এর ব্যবহার বহুল প্রচলিত:

১. ই-কমার্স

ই-কমার্স সাইটগুলো API ব্যবহার করে তাদের পেমেন্ট গেটওয়ে, শিপিং সিস্টেম, এবং ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, Shopify বা WooCommerce এর API ব্যবহার করে বিভিন্ন সেবা একসাথে যুক্ত করা যায়।

২. সামাজিক মাধ্যম

Facebook, Twitter, Instagram এর মতো সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো API এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশনকে তাদের ডাটা অ্যাক্সেস করার সুযোগ দেয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ডেভেলপার এবং কোম্পানি সোশ্যাল মিডিয়া ডেটা নিয়ে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে।

৩. ব্যাংকিং এবং ফিনটেক

API এখন ব্যাংকিং এবং ফিনটেক ইন্ডাস্ট্রির অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। Open Banking এর ধারায় বিভিন্ন ব্যাংক তাদের API এর মাধ্যমে গ্রাহকদের ডেটা তৃতীয় পক্ষের সাথে শেয়ার করার সুবিধা প্রদান করছে। এটি নতুন ফিনটেক সেবা এবং অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

৪. হেলথকেয়ার

হেলথকেয়ার সেক্টরে API এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড (EHR) সিস্টেমের জন্য। API ব্যবহার করে ডাক্তারের ক্লিনিক থেকে রোগীর হেলথ রেকর্ড অন্যান্য হাসপাতাল বা হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের সাথে শেয়ার করা যায়। এর ফলে রোগীর সেবা আরও দ্রুত এবং সহজ হয়।

৫. ট্রাভেল এবং টুরিজম

ট্রাভেল সাইটগুলো API এর মাধ্যমে ফ্লাইট, হোটেল এবং অন্যান্য পরিষেবা সরাসরি তাদের প্ল্যাটফর্মে ইন্টিগ্রেট করে। Expedia, Booking.com এর মতো সাইটগুলো API ব্যবহার করে তাদের তথ্য শেয়ার করে থাকে।

API ডকুমেন্টেশন: সঠিকভাবে ব্যবহার করতে যা জানা প্রয়োজন

API ডকুমেন্টেশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা API ব্যবহারকারী এবং ডেভেলপারদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান করে। ভালো ডকুমেন্টেশন ছাড়া API ব্যবহার করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা API ডকুমেন্টেশনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • এন্ডপয়েন্ট এবং রিসোর্স: প্রতিটি API এর নির্দিষ্ট এন্ডপয়েন্ট থাকে যা ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট ডাটা বা সেবা প্রদান করে।
  • অথেনটিকেশন পদ্ধতি: API এর সাথে কাজ করার জন্য কি ধরনের অথেনটিকেশন প্রয়োজন তা উল্লেখ থাকতে হবে।
  • কুয়েরি প্যারামিটার: কোন ধরনের প্যারামিটার API কলে ব্যবহার করা যাবে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা উচিত।
  • উদাহরণ: বিভিন্ন উদাহরণ এবং API কলের উদাহরণসহ সঠিক আউটপুট দেখাতে হবে, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজে বুঝতে পারে।

উপসংহার

API আধুনিক সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এটি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, সিস্টেম এবং সার্ভিসের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে সফটওয়্যার ইকোসিস্টেমকে আরও কার্যকর করে তোলে। REST, SOAP, GraphQL, WebSocket ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার API প্রোটোকল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এর প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়বে।

API সঠিকভাবে ডিজাইন এবং সিকিউর করতে পারলে এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজকে সহজ করে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করে। API এর মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি এবং সেবা তৈরির সম্ভাবনা অসীম এবং এটি আগামী দিনের প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


এখানে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকার API এর ব্যবহার এবং এর প্রভাব, যা আপনাকে আধুনিক সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দেবে। আপনি যদি এই বিষয়ে আরও জানতে আগ্রহী হন, তাহলে মন্তব্য করতে বা এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না!

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *