চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে
চাহিদার নির্ধারক উপাদানগুলির মধ্যে যে কোন একটি পরিবর্তনের ফলে চাহিদার পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের মাত্রা বিভিন্ন দ্রব্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। এইসব উপাদানের পরিবর্তনের সঙ্গে চাহিদার সাড়া দেখার মাত্রাকে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা বলে। এই সাড়া দেখার মাত্রা বা চাহিদার স্থিতিস্থাপকতাকে শতাংশিক পরিবর্তনের দ্বারা প্রকাশ করা হয়। চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা সংজ্ঞাকে সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।
চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা = চাহিদার পরিমাণের আপেক্ষিক বা শতাংশ পরিবর্তন / চাহিদার নির্ধারকের আপেক্ষিক বা শতাংশিক পরিবর্তন
প্রকারভেদ : চাহিদার নির্ধারক উপাদানের উপর নির্ভর করে চাহিদার ৩ ধরনের স্থিতিস্থাপকতার কথা আমরা এ পাঠে আলোচনা করব সেগুলো হচ্ছে :
১। চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা
২। চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা
৩। চাহিদার আড়াআড়ি স্থিতিস্থাপকতা
চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা :
চাহিদা বিধিতে আমরা দেখেছি যে, অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দ্রব্যের দামের পরিবর্তনের সঙ্গে তার চাহিদারও পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের মাত্রা বিভিন্ন রকম। দামের পরিবর্তনের সঙ্গে সেই দ্রব্যের চাহিদার সাড়া দেয়ার মাত্রাকে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা বলে। একে শতাংশিক পরিবর্তনের দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অতএব দামের আপেক্ষিক বা শতাংশিক পরিবর্তনের ফলে চাহিদা যে আপেক্ষিক বা শতাংশিক পরিবর্তন হয়, তাদের অনুপাতকে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা বলে।
দাম স্থিতিস্থাপকতা = চাহিদার আপেক্ষিক বা শতাংশিক পরিবর্তন / দামের আপেক্ষিক বা শতাংশিক পরিবর্তন
চাহিদার আপেক্ষিক বা শতাংশিক পরিবর্তন জানার জন্য আমাদের মূল্য চাহিদা ও চাহিদার পরিবর্তনের পরিমাণ এই দুয়ের অনুপাত জানতে হবে। অতএব সূত্রটি দাঁড়ায়:
দাম স্থিতিস্থাপকতা = চাহিদার পরিবর্তনের পরিমাণ / মূল চাহিদা /দামের পরিবর্তনের পরিমাণ / মূল দাম
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions