Home » » শ্রমের দক্ষতা কি

শ্রমের দক্ষতা কি

শ্রমের দক্ষতা কি

শ্রমের দক্ষতা: শ্রমিকের উৎপাদন ক্ষমতাকে শ্রমের দক্ষতা বলা হয়। বস্তুত: দক্ষ শ্রম শক্তি যে কোন দেশের একটি মূল্যবান সম্পদ। শ্রমিকের যোগান কেবল জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে না, বরং শ্রমিকের কর্মদক্ষতার উপরও নির্ভর করে। সুতরাং শ্রমিকের সংখ্যা না বাড়িয়ে কেবল তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করা যায়। এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করে সমস্যা সৃষ্টি না করে শ্রমের দক্ষতা বাড়িয়ে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়।


শ্রমের দক্ষতা অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এগুলি হল :

১। কাজ করার যোগ্যতা

২। কাজ করার ইচ্ছা

৩। সংগঠনের দক্ষতা

৪। কারখানার পরিবেশ


নিম্নে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো-

১. কাজ করার ক্ষমতা

শ্রমিকের কাজ করার ইচ্ছা আবার কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যথা : (ক) দৈহিক যোগ্যতা, (২) কারিগরি যোগ্যতা, (গ) বুদ্ধিগত যোগ্যতা এবং (ঘ) নৈতিক যোগ্যতা।


ক. দৈহিক যোগ্যতা : শ্রমিকের দক্ষতা বহুলাংশে তার দৈহিক যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। একজন সুস্থ ও সবল শ্রমিক একজন অসুস্থ ও দুর্বল শ্রমিক অপেক্ষা অধিক কাজ করতে সক্ষম। দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু, উন্নত খাদ্য, ভাল পোষাক পরিচ্ছদ, স্বাস্থ্যকর বাসস্থান প্রভৃতি শ্রমিকদের কর্মনৈপুণ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে। যেমন, শীত প্রধান দেশে শ্রমিকগণ অধিক কাজ করতে পারে। তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে না। অন্যদিকে, গ্রীষ্ম প্রধান দেশে শ্রমিকগণ অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘসময় ধরে কাজ করতে সক্ষম হন না। তাছাড়া জাতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণেও শ্রমিকদের দৈহিক যোগ্যতা অধিক হয়। যেমন, ইংরেজরা বংশগত কারণে বাংলাদেশীদের তুলনায় দীর্ঘকায় ও শক্তিশালী।


খ. কারিগরি যোগ্যতা : কারিগরি যোগ্যতা বলতে বিশেষ কাজের জন্য বিশেষ কর্মদক্ষতাকে বুঝায়। কারিগরি যোগ্যতা গড়ে তুলতে কারিগরি জ্ঞান অর্জন করতে হয়। এই কারিগরি যোগ্যতা শ্রমিকদের দক্ষতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করতে পারে। আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থায় শ্রমিকদের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদানের বিষয়টির গুরুতব বৃদ্ধি পেয়েছে।


গ. বুদ্ধিগত যোগ্যতা : বুদ্ধিগত যোগ্যতা শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে। এই বুদ্ধিগত যোগ্যতা প্রধানতঃ শিক্ষার উপর নির্ভর করে। উপযুক্ত শিক্ষা দিক্ষার সুযোগপ্রাপ্ত শ্রমিকগণ কর্মে উৎসাহী ও উদ্যোগী হয়। এতে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে। এজন্যই নিঃসন্দেহে শিক্ষিত শ্রমিক অশিক্ষিত শ্রমিকের চেয়ে অধিক কর্মদক্ষ।


ঘ. নৈতিক যোগ্যতা : শ্রমিকের নৈতিক চরিত্রের উপর তার কর্মদক্ষতা নির্ভর করে। যে শ্রমিক সৎ ও বিশ্বাসী তার কর্মদক্ষতা বেশি। কর্তব্যনিষ্ঠ, দায়িতব সম্পন্ন ইত্যাদি গুণের অধিকারী শ্রমিক স্বাভাবিকভাবেই অধিক কর্মদক্ষতার অধিকারী হবে। অপরপক্ষে, নৈতিক চরিত্রের অবনতি ঘটলে শ্রমিকগণ ফাঁকিবাজ ও কাজে অমনোযোগী হয়ে পড়ে এবং তাদের ক্ষমতা হ্রাস পায়।


২. কাজ করার ইচ্ছা

শ্রমিকদের দক্ষতা তাদের কাজ করার ইচ্ছার উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। শ্রমিকদের কাজের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত টান ও উৎসাহ না থাকলে তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে না। এই ইচ্ছা আবার নির্ভর করে কাজের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা, ভবিষ্যত সফলতা ও উন্নতির সম্ভাবনা এবং ঐ কাজে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, বৈচিত্র ও প্রকৃতির উপর। যে সব কাজে ক্রমাগত বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির সুবিধা আছে শ্রমিকগণ সে সব কাজে নিয়োজিত থাকতে উৎসাহ পায়। চাকুরীর স্থায়িতব, পুরস্কারের ব্যবস্থা, অবসর ভাতা, নিয়মিত মজুরী, আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থা উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সুযোগ প্রভৃতি শ্রমিকগণের কাজ করার ইচ্ছা বৃদ্ধি করে।


৩. সংগঠনের দক্ষতা

সংগঠনের দক্ষতার উপরও শ্রমিকের দক্ষতা নির্ভর করে। সংগঠক (বা মালিক) উৎপাদনের উপাদানসমূহের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে সমন্বয় ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। মালিকের সংগঠন ক্ষমতা উচ্চমানের হলে বা উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হলে তার অধীনে শ্রমিকগণ সহজেই দক্ষ হয়ে উঠে।


৪. কারখানার পরিবেশ

কারখানার পরিবেশ, পারিপাশির্বক অবস্থা, পরিচ্ছন্নতা, প্রচুর আলো বাতাস, ব্যক্তি স্বাধীনতা, অংশীদারিতেব ব্যবস্থাপনা, নিয়মানুবর্তিতা প্রভৃতি বিষয়ও শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া, উন্নতমানের আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তিগত উত্তরণ শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা দেয়।


৫. সামাজিক নিরাপত্তা

সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা দেয়। অসুস্থতা, বেকারতব, দুর্ঘটনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের সুবিধা থাকলে শ্রমিকগণ কাজে উৎসাহ পায় এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে। ফলে তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *