উন্নয়নশীল দেশ কাকে বলে?
উন্নয়নশীল দেশ : যে সকল দেশ বিভিন্ন উন্নয়ন কৌশল এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়নের পথে ক্রমশঃ অগ্রসর হচ্ছে এবং কিছুটা উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে তাদেরকে উন্নয়নশীল দেশ বলা হয়। এ সকল দেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে সমাধান করে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়নের সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের জন্য আর্থসামাজিক ভিত্তি রচিত হয় এবং দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে অর্থনীতি ক্রমশঃ উন্নয়নের পথে ধাবিত হয়। এ সকল দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদনমূলক কাজের গতি বৃদ্ধিতে উৎসাহবোধ করে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ দক্ষিণ এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকার অনেক দেশ উন্নয়নশীল দেশের অন্তর্ভুক্ত।
বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতিতে অনুন্নত দেশ শব্দটি আর ব্যবহৃত হয় না। কারণ অনুন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের বৈশিষ্ট্য প্রায় একই। তাছাড়া সকল দেশই উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বর্তমান বিশ্বে যদিও অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ দু’টো সমার্থক এরপরও উন্নয়নশীল দেশের আলাদা কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আছে। এবার চলুন বৈশিষ্ট্যগুলো জানা যাক –
১. উন্নয়নশীল দেশসমূহের মাথাপিছু আয় কম ও জীবনযাত্রার মান নিম্ন হলেও তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২. এ সকল দেশে কৃষি ও শিল্পে ক্রম উন্নয়নের ধারা লক্ষ করা যায়।
৩. প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার যথাসাধ্য চেষ্টা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে হচ্ছে।
৪. উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেকারত্বের হার ক্রমশঃ কমে আসছে।
৫. উন্নয়নশীল দেশসমূহের পুঁজি একটি গােষ্ঠীর হাতে চলে যাচ্ছে ফলে সমাজে বেশ কয়েকটি শ্রেণীর সৃষ্টি হচ্ছে – পুঁজিপতি, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। এ সকল দেশে চরম গরীব ও উচ্চবিত্ত পাশাপাশি বিদ্যমান।
৬. অনুন্নত দেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণের মাধ্যমে শিক্ষার হার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
৭. বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনয়নের চেষ্টা চলছে।
৮. অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।
৯. কারিগরী শিক্ষার উপর জোর দেয়া হচ্ছে।
১০. দেশের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর থেকে শিল্প নির্ভরতার দিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে।
১১. পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক প্রসারের মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
১২. বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions