শেয়ার বাজার কি?
স্বচ্ছ আয়নায় যেমন লোকের চেহারা দেখা যায় তেমনি শেয়ার বাজারের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝা যায় তাহলে এখন প্রশ্ন উঠে শেয়ার বাজার কি? “শেয়ার বাজার হল যে বাজারে কোন কোম্পানির শেয়ার ও ইকুইটি ক্রয়-বিক্রয় হয়।”
কোন কোম্পানি মূলধন বাড়ানোর জন্য বাজারে তার নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ বিক্রি করে দিয়ে টাকা বা অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করে। এই যে টাকা সংগ্রহ করার উপায় এটা হল শেয়ার বাজার। তাই শিল্পের মূলধন সংগ্রহের জন্য কোম্পানি তার অংশ বিক্রি করার জন্য বাজারে আসে। তাই একটা দেশের শেয়ার বাজার যত বড় সে দেশের উৎপাদন কর্মকান্ড তত বড়। আর যে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড যত ছোট সে দেশের শেয়ার বাজার তত ছোট। একটি দেশের উৎপাদন যত বাড়বে সে দেশের শেয়ার তত দ্রুত বাড়বে। তাই শেয়ার বাজারকে বলা যেতে পারে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রাণ।
শেয়ার বাজারে মূল্যস্তর বাড়া বা কমা চাহিদা ও যোগানের দ্বারা নির্ধারিত হয়। যদি চাহিদা যোগানের চেয়ে বেশী থাকে তবে মূল্যস্তর বাড়বে। অর্থাৎ সূচকের বৃদ্ধি ঘটবে। আর যদি | যোগান চাহিদার তুলনায় বেশী হয় তবে সঙ্গত কারণেই দাম কমবে। কিন্তু শেয়ারের চাহিদা বাড়াটা নির্ভর করে সেই প্রতিষ্ঠানের অধিক মুনাফা অর্জন, অধিক হারে মুনাফা বিতরণ, নতুন করে রাইট শেয়ার ও বোনাস শেয়ার বিতরণ করা। শেয়ার এর এই দাম বৃদ্ধির প্রবণতাকে বলা হয় তেজী ভাব বা Bullish। আর শেয়াররের চাহিদা কমে যাবে যদি ঐ কোম্পানির দোষ-ত্রুটি ইত্যাদি ধরা পড়ে এবং তা প্রকাশিত হয়। শেয়ারের দুটি বাজার আছে একটি হল মূল শেয়ার বাজার আর অন্যটি হল কার্ব (Curb) মার্কেট। মূল শেয়ার বাজার কতগুলো নিয়ম-কানুন মেনে চলে শেয়ারের কেনা-বেচা হয়। আর কার্ব মার্কেটে বিক্রেতা ক্রেতার নিকট ব্যক্তিগত পর্যায়ে শেয়ার বিক্রয় করে অর্থ সংগ্রহ করে। তবে মূল বাজারের তুলনায় কার্ব মার্কেটে শেয়ারের দাম কম বা বেশী হয়। তেজী ভাবের সময় কার্ব মার্কেটের শেয়ারের মূল্য মূল শেয়ার বাজার থেকে বেশী হয়। আর মন্দাভাবের সময় মূল বাজারের তুলনায় কার্ব মার্কেটে শেয়ার মূল্য কম থাকে। প্রতিটি শেয়ারের বাজারে শেয়ারের একবার করে বিনিময় হয় তবে বিশেষ কারণে শেয়ারের বিনিময় বন্ধ থাকতে পারে। যেসব শেয়ারের দাম তুলনামূলকভাবে কম উঠানামা করে সেই সব শেয়ারকে বলা হয় blue chip শেয়ার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions