জেন্ডার কি
জন্মসূত্রেই সমাজে কেউ নারী কেউ পুরুষ। শারীরিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে খুব সহজেই আমরা এই নারী-পুরুষ বিভাজনটাকে চিহ্নিত করতে পারি। শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নারী পুরুষ বিভাজনের বিষয়টিকে লিঙ্গ বিভাজন বলা হয়ে থাকে।
পক্ষান্তরে জেন্ডার হলো সমাজসৃষ্ট। একারণে ভিন্ন ভিন্ন সমাজে জেন্ডারের ধারণাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। নারী ও পুরুষের নিজ নিজ ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে সমাজ যে বিভাজন রেখা টেনে দেয় তাকে জেন্ডার নামে আখ্যায়িত করা হয়।
কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে আমরা বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করতে পারি। বাঙালি সমাজে দুঃখ পেলেও জনসমক্ষে কোনো ছেলে সচরাচর কান্নাকাটি করে না। ধরে নেওয়া হয় এটা পুরুষ সুলভ আচরণ নয়। সমাজের ধারণা কান্নাকাটি করা মেয়েলি আচরণ। পুরুষ হবে কঠিন, নারী হবে কোমল হৃদয়ের। সমাজ মনে করে মেহেদী দিয়ে হাত সাজানো, নখপালিশ ব্যবহার—এসব মেয়েলি ব্যাপার। পুরুষেরা কখনো তাদের হাত পা এভাবে সাজায় না। লক্ষ করলে দেখা যাবে, এই উদাহরণগুলোতে নারী ও পুরুষের যে ভূমিকা তথা জেন্ডার ভূমিকা, শারীরিক, প্রকৃতিগত বা (Biological) নয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions