পর্বত কাকে বলে
ভূ-পৃষ্ঠের অতি উচ্চ, সুবিস্তৃত এবং খাড়া ঢাল বিশিষ্ট শিলাস্তুপকে পর্বত বলে। পর্বত সাধারণত ৬০০ মিটারের বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। তবে পর্বতের উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে কয়েক হাজার মিটার পর্যন্ত হতে পারে। কোন কোন পর্বত বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে। যেমন: পূর্ব আফ্রিকার কিলিমানজারো। কিছু পর্বত ব্যাপক এলাকাজুড়ে অবস্থান করে। এ ধরনের পর্বত সাধারণত ঢেউয়ের ন্যায় ভাঁজ বিশিষ্ট হয়। যেমন: হিমালয় পর্বত। এই পর্বত পশ্চিমে পামীর মালভূমি থেকে শুরু করে পূর্বে প্রায় পাপুয়া নিউগিনি পর্যন্ত বিস্তৃ। এছাড়াও উত্তর আমেরিকার রকি ও অ্যাপোলোসিয়ান, দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ, ইউরোপের আল্পস, ইউরাল ও ককেশাস, এশিয়ার ফুজিয়ামা উল্লেখযোগ্য বৃহৎ আকৃতির পর্বত।
পর্বত গঠনে বিভিন্ন প্রক্রিয়া একসঙ্গে কাজ করে। একে ওরোজেনেসিস বলে। গ্রীক শব্দ অরোস অর্থ পর্বত এবং জেনেসিস অর্থ সৃষ্টি হওয়া। ভূ-অভ্যন্তরস্থ বিপুল শক্তির কারণে এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবয়বের সৃষ্টি হয় যেমন: এর উচ্চতা, এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভাঁজ ও চ্যুঁতি, দুমড়ানো মোচড়ানো অবস্থা ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্রিয়ার ফলে পর্বত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নানারূপ ভূমিরূপ এর সৃষ্টি হয়। এই ক্ষয়ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রভাবক কাজ করে যেমন: পানির, হিমবাহ প্রভৃতি।
পৃথিবীর প্রতিটি পর্বত দেখতে বাহ্যিকভাবে স্বতন্ত্র হলেও উৎপত্তিগত ও গঠন প্রকৃতির দিক দিয়ে এদের বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়।
উৎপত্তিগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পর্বতকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১। ভঙ্গিল পর্বত
২। আগ্নেয়জাত পর্বত
৩। চ্যুতি স্তুপ পর্বত
৪। উত্থিত ক্ষয়জাত পর্বত
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions